বিপিএলকে অস্ট্রেলিয়া দলে ফেরার সেতু ভাবছেন ওয়ার্নার
1 min readঅধিনায়ক হিসেবে আগেই তাঁর নাম ঘোষণা করে হয়েছিল। ওয়ার্নারকে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দিল সিলেট সিক্সার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি। বল বিকৃতির অপরাধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো নিষিদ্ধ সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক সংবাদমাধ্যম জানালেন তাঁর বিপিএল ভাবনা ।
কাল ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। আজ সকালে বিসিবি একাডেমি মাঠে অনুশীলন, সন্ধ্যায় হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক হিসেবে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা—শুরু হয়ে গেছে ডেভিড ওয়ার্নারের বিপিএল-পর্ব।
বল বিকৃতের দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিষিদ্ধ ওয়ার্নার গত জুলাইয়ে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি দিয়ে ফিরেছেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে, খেলেছেন সিপিএল। এবার এলেন বিপিএল খেলতে। আগামী মার্চে উঠে যাবে তাঁর নিষেধাজ্ঞা। মার্চে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে ওয়ার্নারের ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা একেবারের উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। ওয়ার্নার অবশ্য বিষয়টা ছেড়ে দিচ্ছেন নির্বাচকদের হাতেই, ‘তারা আমাকে নেবে কি নেবে না, এটা নির্ভর করছে নির্বাচকদের ওপর। আমি যেটা করতে পারি, এই টুর্নামেন্টে এবং এর পর আইপিএলে রান করা। আমাকে সব সময় তৈরি থাকতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যে দলে নির্বাচিত হতে আমি সেরা।’
ধারাবাহিক ভালো খেললে অস্ট্রেলীয় নির্বাচকেরা নিশ্চয়ই উপেক্ষা করবেন না তাঁকে। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে জাতীয় দলে ফেরার একটাই উপায়, এই মুহূর্তে নানা দেশে যে টুর্নামেন্টে খেলছেন, সেগুলোয় ধারাবাহিক ভালো করা। কিন্তু বিপিএলে ভালো খেললেও কি নির্বাচকেরা বিবেচনায় নেবেন? টুর্নামেন্টটা কীভাবে ‘রেট’ করবেন ওয়ার্নার? ‘আন্তর্জাতিক সূচির মধ্যে নির্দিষ্ট খেলোয়াড়দের পাওয়া অনেক কঠিনই হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মুহূর্তে বিপিএলকেই দেখুন বিগ ব্যাশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে। এর পর পিএসএল আছে। আইপিএল আছে। বিশ্বকাপের আগে এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন সত্যি অনেক ভালো ব্যাপার। কিন্তু অনেক বিদেশি খেলোয়াড় এখানে আসতে পারেনি।’
আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ওঠেনি, খেলতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়া দলে। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিনি নিষিদ্ধ আগামী মার্চ পর্যন্ত। অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরলেও কোনো দিন হতে পারবেন না অধিনায়ক। বল বিকৃতির অপরাধে নিষেধাজ্ঞা এখনো শেষ হয়নি। তবে ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছেন অনেকটাই। নিষিদ্ধ হওয়ার পর কেমন কেটেছে সময়, সেই অভিজ্ঞতা বলেছেন ওয়ার্নার, ‘জীবন ভালোই চলেছে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। যদি মাঠে থাকতাম, তাহলে তো এসব করতে পারতাম না। নিজের ভেতর থেকে সেরাটা বের করে আনা ও ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বাড়িতে একজন ভালো বাবা ও ভালো স্বামী হওয়া। এখন আবার সময় হয়েছে খেলার, সিলেট সিক্সার্সকে শীর্ষে নেওয়ার।’
আর সিলেটকে ওয়ার্নার শীর্ষে নিতে চান সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে, ‘এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় ক্লাব ক্রিকেট খেলা নিয়ে আজ ওয়াকারের (সিলেট কোচ) সঙ্গে কথা বলছিলাম। (এখানে) উইকেট নিচু ও মন্থর। এই কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়া একটু কঠিন। তবে দেশে অনেক রান করে এসেছি। আর ঢাকা-চট্টগ্রামে আগেও খেলেছি। জানি, উইকেট কেমন হতে পারে। ছন্দটা ধরে নেওয়ার ব্যাপার মাত্র এবং নিশ্চিত করা যেন সিলেটকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারি।’
Facebook Comments