এবার পালা বোলারদের
1 min readঢাকা টেস্টের গত দুটি দিন পার হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আধিপত্যে। মুশফিকুর রহিমের অনন্য কীর্তি ও মুমিনুল হকের চমৎকার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে স্বাগতিকরা। এবার পালা বোলারদের। তাঁরা কি পারবেন প্রতিপক্ষকে কম রানে আটকে দিতে।
আজ সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ৪৪ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১০০ রান গড়েছে।
এর আগে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশ ৫২২ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে, যাতে মুশফিক একাই ২১৯ রানের হার না মানা একটি ইনিংস খেলেন। ৪২১ বলে ১৮ চার ও একটি ছক্কায় এই ইনিংস সাজিয়েছেন। শেষ দিকে এসে তাঁকে দারুণ সাপোর্ট দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই তরুণ অলরাউন্ডার খেলেন অপরাজিত ৬৮ রানের একটি ইনিংস। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৩৬ রান করেন।
মুশফিকের ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের আরো দুটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে, একটি সাকিব আল হাসানের, অন্যটি তামিম ইকবালের।
এর আগে প্রথম দিনে বাংলাদেশ ৯০ ওভারে ৩০৩ রান করেছিল, যাতে মুমিনুল ১৬১ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট শতক। আর ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করে মুশফিক ছিলেন ১১১ রানে অপরাজিত।
তবে দুজনে মিলে দারুণ একটি রেকর্ড গড়েছেন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন। চতুর্থ উইকেটে তাঁরা করেন ২৬৬ রান।
শেরেবাংলায় এটি হয়েছে দারুণ একটি রেকর্ড। এই মাঠে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। এই ভেন্যুতে এর আগে সর্বোচ্চ জুটি ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে। সেবার দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল ও জুনায়েদ সিদ্দিকী করেছিলেন ২০০ রান। এবার সে রেকর্ডকে ছাড়িয়েছেন তাঁরা।
এর আগে লিটন দাস ৯ ও ইমরুল কায়েস শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। কোনো রান না নিয়ে আউট হন এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া মিঠুনও।
আর মাহমুদউল্লাহ ৩৬, আরিফুল ও তাইজুল ৪ রান করে নেন।
Facebook Comments