April 25, 2024

Bengla Sport

The ultimate Guide For Online BOOKMAKER

বড় লিডের পথে বাংলাদেশ

0 0
1 min read
0 0
Read Time5 Minute, 13 Second

প্রথম ইনিংসে বড় লিড পেয়েছে বাংলাদেশ, ২১৮ রান। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে মাঝারি সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারলেই প্রতিপক্ষকে ছুড়ে দেওয়া সম্ভব হবে একটা বড় লক্ষ্য। ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনে সে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ের কবলে পড়ে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একরকম দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। তবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও মোহাম্মদ মিঠুনের দৃঢ়তায় বড় লিডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

আজ বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যচের দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ২৫ ওভারে ৭৮ রান নিয়েছে, হারিয়েছে চার উইকেট। ব্যাট করছেন মাহমুদউল্লাহ (২৪) ও মোহাম্মদ মিঠুন (৩৪)। ইমরুল কায়েস (৩), লিটন দাস (৬), মুমিনুল হক (১) ও মুশফিকুর রহিম (৭) দ্রুত সাজঘরে ফিরে যান।

অবশ্য এরই মধ্যে বাংলাদেশ ২৯৬ রানের লিড নিয়েছে। আর কিছু রান যোগ করতে পারলেই প্রতিপক্ষের সামনে ছুড়ে দেওয়া সম্ভব হবে একটা চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।

এর আগে মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশ ৫২২ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে, যাতে মুশফিক একাই ২১৯ রানের হার না মানা একটি ইনিংস খেলেন। ৪২১ বলে ১৮ চার ও একটি ছক্কায় এই ইনিংস সাজিয়েছেন। শেষ দিকে এসে তাঁকে দারুণ সাপোর্ট দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এই তরুণ অলরাউন্ডার খেলেন অপরাজিত ৬৮ রানের একটি ইনিংস। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ ৩৬ রান করেন।

মুশফিকের ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের আরো দুটি ডাবল সেঞ্চুরি আছে, একটি সাকিব আল হাসানের, অন্যটি তামিম ইকবালের।

এর আগে প্রথম দিনে বাংলাদেশ ৯০ ওভারে ৩০৩ রান করেছিল, যাতে মুমিনুল ১৬১ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট শতক। আর ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করে মুশফিক ছিলেন ১১১ রানে অপরাজিত।

তবে দুজনে মিলে দারুণ একটি রেকর্ড গড়েছেন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন। চতুর্থ উইকেটে তাঁরা করেন ২৬৬ রান।

শেরেবাংলায় এটি হয়েছে দারুণ একটি রেকর্ড। এই মাঠে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। এই ভেন্যুতে এর আগে সর্বোচ্চ জুটি ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে। সেবার দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল ও জুনায়েদ সিদ্দিকী করেছিলেন ২০০ রান। এবার সে রেকর্ডকে ছাড়িয়েছেন তাঁরা।

এর আগে লিটন দাস ৯ ও ইমরুল কায়েস শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। কোনো রান না নিয়ে আউট হন এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া মিঠুনও।

আর মাহমুদউল্লাহ ৩৬, আরিফুল ও তাইজুল ৪ রান করে নেন।

জবাবে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে গড়েছে ৩০৪ রান। তারা ১০৫.৩ ওভার খরচ করেছে। চোটের কারণে চাতারা ব্যাট করতে নামতে না পারায় ইনিংস গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয় অতিথি দলটি। তাই প্রথম ইনিংসে ২১৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের এই ইনিংস গড়তে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন ব্রেন্ডন টেইলর। তাঁর চমৎকার শতকেই (১১০) গড়া সম্ভব হয় তিন শতাধিক রান। এ ছাড়া পিটার মোর ৮৩ ও ব্রায়ান চারি ৫৩ দুটি চমৎকার ইনিংস খেলেন।

স্পিনার তাইজুল ১০৭ রানে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের শুরুতে বেশ চেপে ধরেছিলেন। মেহেদী হাসান মিরাজ তিন উইকেট তুলে নিয়ে শেষ বিকেলে কিছুটা চেপে ধরেন। আর একটি উইকেট পান আরিফুল হক।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Facebook Comments

Copyright © Bengla Sports.com All rights reserved. | Newsphere by AF themes.