দারুণ জয়ে ওয়ানডেতে সূচনা বাংলাদেশের
1 min readওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয় দলটিকে ৪৮ রানে হারিয়েছে মাশরাফিরা। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে সফরকারীরা।
গায়ানায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ২৮০ রানের বিশাল লক্ষ্য টপাতে গিয়ে স্বাগতিকদের ইংনিস থেমে যায় ২৩১ রানে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার বল হাতের উজ্জ্বলতায় মূলত ক্যারিবীয় দলটির বিপক্ষে এই সাফল্য পায় লাল-সবুজের দল।
ওপেনার ক্রিস গেইল ও মিডেল অর্ডারে খেলতে নামা শিম্রন হ্যাটমিয়ার দারুণ দুটি ইনিংস খেলেও স্বাগতিক দলটির হার এড়াতে পারেননি। গেইল ৪০ রান করেন এবং শিম্রন ৫২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
মাশরাফি ১০ ওভার বল করে চার উইকেট তুলে নিয়েই মূলত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ধস নামান। মুস্তাফিজুর রহমান ৮ ওভার বল করে ৩৫ রান দিয়ে দুই উইকেট পান। আর একটি করে উইকেট পান মেহেদী হাসান মিরাজ ও রুবেল হোসেন।
ম্যাচে অবশ্য শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১ রানের মাথায় ওপেনার এনামুল হকের উইকেট হারিয়ে বসে। তবে ব্যাট হাতে দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়ে আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল ও ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা সাকিব আল হাসান শুরুর এই ধাক্কা সামলান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে মিলে এই চাপ সামলে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের পথ দেখান।
ক্যারিবীয়দের দুর্দান্ত পেস আক্রমণের সামনে চমৎকার ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়ে সাকিব ৯৭ রান করে ফিরে গেলেও তামিম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৩০ রানে। এটি তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম শতক। অবশ্য সাকিব মাত্র তিন রানের জন্য অষ্টম শতক করতে পারেননি।
তবে এদিন সাকিব-তামিম দুজনের মিলে যে জুটি গড়েছেন তা সত্যিই অসাধারণ। তারা ২০৭ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ গড়েই দলকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন।
মুশফিকুর রহিম শেষ দিকে একটি দারুণ ঝড়ো ইনিংস খেলেন। মাত্র ১১ বলে ৩০ রান করেন তিনি। এ ছাড়া সাব্বির রহমান ৩ ও মাহমুদউল্লাহ ৪ রান করেন।
গায়ানার ভেন্যুটি বাংলাদেশের জন্য পয়মন্তই বটে। এর আগে একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ, ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে। সে ম্যাচে জয় পেয়েছিল তারা। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে লাল-সবুজের দল।
তা ছাড়া টেস্ট সিরিজে লজ্জাজনক হারের পর ক্যারিবীয়দের মাটিতে ওয়ানডেতে এই সাফল্য ভালোই কাজে আসবে।
Facebook Comments