November 29, 2024

Bengla Sport

The ultimate Guide For Online BOOKMAKER

ভারতীয় কোচের দলকে উড়িয়ে দিল টিটুর শিষ্যরা

0 0
1 min read
0 0
Read Time5 Minute, 17 Second
ভারতীয় কোচ নইমুদ্দিনের দলের খেলায় কখনো বাড়তি কারিশমা দেখা যায় না। ভারতীয় এই কোচের দলের ট্রেডমার্ক ফিটনেস। নিয়মিত দুই বেলা ‘মেডিসিন বলে’ অনুশীলনের সুবাদে তাঁর খেলোয়াড়েরা শেষ পর্যন্ত দৌড়ানোর ক্ষমতা রাখে। কিন্তু বর্তমানে পরিকল্পনা ছাড়া বেশি দূর কি আর এগোনো যায়!

সৈয়দ নইমুদ্দিন আর পেরে উঠলেন কোথায়!

ভারতীয় এই কোচের হাতে পড়ে কিছুটা চাঙা হয়ে উঠেছিল ব্রাদার্স। ফেডারেশন কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়া দলটিকে স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টারে নিয়ে এসেছিলেন নইমুদ্দিন। শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আরামবাগের বিপক্ষে দুবার পিছিয়েও ৩-৩ ড্র করে শেষ পর্যন্ত জিতেছিল টাইব্রেকারে। তাই ধরেই নেওয়া হয়েছিল ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শেখ রাসেলকেও সহজে ছাড়বে না নইমুদ্দিনের শিষ্যরা। কিন্তু কিসের কী! উজবেকিস্তানের স্ট্রাইকার আজিজভ আলিশারের জোড়া গোলে শেখ রাসেলের সামনে কমলা জার্সিধারীরা উড়ে গিয়েছে ২-০ গোলে।

এটা জানা কথা, নইমুদ্দিনের দলের খেলায় কখনো বাড়তি কারিশমা দেখা যায় না। ভারতীয় ‘দ্রোণাচার্যের’র দলের ট্রেডমার্ক ফিটনেস। নিয়মিত দুই বেলা ‘মেডিসিন বলে’ অনুশীলনের সুবাদে তাঁর খেলোয়াড়েরা শেষ পর্যন্ত দৌড়ানোর ক্ষমতা রাখে। কিন্তু বর্তমান সময়ে পরিকল্পনা ছাড়া রেসে বেশি দূর কি আর এগোনো যায়! ব্রাদার্সও আজ পেরে উঠল না তাই। সাইফুল বারি টিটুর অঙ্ক কষে মাঠে নামা দলের কাছে পরতে পরতে খাবি খেয়েছে গোপীবাগের দল। কী বলের দখল, কী পরিকল্পনা—ব্রাদার্সকে দেখে কখনোই মনে হয়নি রাসেলকে হারিয়ে ফাইনালে খেলার যোগ্যতা রাখে তারা।

আঁটসাঁট রক্ষণভাগে খ্যাতি থাকায় চলতি মৌসুমে রাসেলের জালে বল পাঠানো বড় কঠিন কাজ। মৌসুমে এ পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে হজম করেছে মাত্র এক গোল। নাইজেরিয়ান আলিসন উদোকার নেতৃত্বে বিশ্বনাথ-ইয়াসিন-ইয়ামিনদের সলিড রক্ষণভাগ। গোল হজমে কৃপণতার কৃতিত্বটা শুধু পুরোপুরি রক্ষণের নয়, বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পুরো দল। কোচ সাইফুল বারির পরিষ্কার দর্শন গোল হজম না করলে গোল করার সুযোগ আসবেই। আর প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগানোর মতো দক্ষ স্ট্রাইকার উজবেক আলিশার ও নাইজেরিয়ার রাফাইল অনব্রো তো আছেনই।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যাটা ছিল আলিশারের। নম্বর নাইন হিসেবে না খেলে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রোলে খেলে থাকেন এই ফরোয়ার্ড। উইঙ্গারের সঙ্গে জায়গা বদল করে প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগকে ধোঁকা দিতে পারদর্শী। জোড়া গোলের প্রথমটি খুনে ফিনিশিংয়ে। বিরতিতে যাওয়ার আগে রাফায়েলের ক্রসে দূরের পোস্ট থেকে ভলিতে ১-০ করেছেন আজিজভ। দুরূহ কোণ থেকে বলটা পোস্টে রেখে আলিশার বুঝিয়ে দিলেন উজবেকিস্তান জাতীয় দলেও কেন ডাক পড়ে তাঁর।

বিরতি থেকে ফিরে আরও চাঙা। ২-০ করতে সময় নিলেন মাত্র ৬ মিনিট। ব্রাজিলিয়ান রাফায়েলের ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে খালেকুজ্জামান সবুজের নেওয়া শট আজিজভ আলিশারের পায়ে পড়ে। ‘পড়বি তো পর মালির ঘাড়ে’- আজিজভ প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণে নিলেন, দ্বিতীয় স্পর্শ বুলেট গতির রূপ নিয়ে জালে। এর পরেও ম্যাচে ফিরে আসার মতো আর কোনো খেলা খেলতে পারেনি ব্রাদার্স।

২৪ ডিসেম্বর ফাইনালে রাসেলের প্রতিপক্ষ আগামীকাল বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী লিমিটেডের মধ্যকার জয়ী দল। ২০১৩ সালে ট্রেবল জয়ের মৌসুমে শেষ স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শেখ রাসেল।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %

Facebook Comments

Copyright © Bengla Sports.com All rights reserved. | Newsphere by AF themes.