যে কারণে বিশ্ব একাদশকে সাকিবের ‘না’
1 min readআইসিসিকে বলেছেন কারণটা ‘ব্যক্তিগত’। তবে সাকিব আল হাসান যে ৩১ মে বিশ্ব একাদশের জার্সি গায়ে লর্ডসের ম্যাচটা না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটি কিছুটা জাতীয় স্বার্থেও। কাল বেঙ্গালুরু থেকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন, আফগানিস্তান সিরিজে নিজের সেরাটা দিতেই এড়াতে চেয়েছেন ভ্রমণক্লান্তি। বিশ্ব একাদশ থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন নাম।
‘আইপিএলে আমাদের ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আছে। তা ছাড়া এমনিতেই অনেক দিন ধরে খেলছি, মৌসুমটা বড়। ২৯ মে যদি আমি ইংল্যান্ডে উড়ে যাই, ৩১ তারিখে খেলে আবার ১ জুন ফিরে আসতে হবে। এরপর ৩ তারিখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ। আমার জন্য এটা ক্লান্তিকর হয়ে যায়’—বলেছেন সাকিব। বিশ্ব একাদশে বাংলাদেশের আরেক প্রতিনিধি তামিম ইকবাল অবশ্য পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ীই যাচ্ছেন লর্ডসে। ২৬ মে ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবেন। ম্যাচ শেষে সেখান থেকেই চলে যাবেন দেরাদুনে।
বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব বিশ্ব একাদশের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটির চেয়ে আফগানিস্তান সিরিজটাকেই দেখছেন বড় করে। আইপিএলের দীর্ঘ যাত্রার পর দেরাদুনে মাঠে নামার আগে তাই একটু দম নিতে চান, ‘আফগানিস্তান সিরিজ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজে সেরা অবস্থায় থাকতে চাই, যেন পারফর্ম করতে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়। তা ছাড়া বাংলাদেশের খেলাও তো ভারতেই। আমার জন্য ভালো হবে আমি যদি কয়েক দিন বিশ্রাম নিয়ে তারপর খেলতে পারি।’
বিশ্ব একাদশ থেকে সাকিবের নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা কালই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে আইসিসি। শিগগিরই তাঁর বদলিও নেওয়া হবে। এর আগেই অবশ্য নেপালের তরুণ লেগ স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানেকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
Facebook Comments