মরিনিয়োকে অপমান করেননি দিবালা!
1 min readকিছুদিন আগেই জুভেন্টাসের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল জোসে মরিনিয়োর দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। জয়ের চেয়ে ড্রয়ের সম্ভাবনায় বেশি ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে জুভেন্টাসের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। তাতে একটু বিশেষভাবে উচ্ছ্বসিত হয়েই উদযাপন করে শিরোনামে এসেছিলেন মরিনিয়ো। এতে চটেছিলেন জুভেন্টাসের খেলোয়াড়রা। এগিয়ে এসেছিলেন দিবালা, লিওনার্দো বোনুচ্চি। তবে মরিনিয়োকে অপমান করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন দিবালা।
ইউনাইটেডের কোচ মরিনিয়ো জয়ের পর দর্শকদের দিকে কান ফিরিয়ে কিছু একটা শোনার চেষ্টা করেন। জয়ের পর এমন উদযাপনের সময় তাঁকে বাধা দিতে এগিয়ে আসেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড দিবালা। তুরিনের মাঠে নিজেদের জয়ের হর্ষধ্বনি শুনতে চেয়েছিলেন মরিনিয়ো। তবে তাঁর আচরণ সাবেক ইউনাইটেড তারকা পল স্কোলেস এবং গ্যারি নেভিলের কাছেও মানহানিকর মনে হয়েছে।
অবশ্য দিবালা জানিয়েছেন, তেমন কোনো সমস্যা হয়নি ইউনাইটেডের কোচের সঙ্গে। তিনি স্কাই স্পোর্টস ইতালিয়াকে বলেন, ‘আমি তাঁকে শুধু বলেছি, এমন আচরণের কোনো প্রয়োজন ছিল না। যেখানে ইতিমধ্যে কিছু উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে, সেটিকে উস্কে দেওয়ার কোনো মানে হয় না। কোনো সময় অপমানিত হওয়ার চেয়েও উস্কানি খারাপ। আমি শুধু তাঁকে বলেছি এর কোনো প্রয়োজন ছিল না। আমি মরিনিয়োকে অপমান করিনি। এটি বলে আমি চলে এসেছি।’
ওল্ড ট্রাফোর্ডে কিছুদিন আগেই ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ইউনাইটেডকে হারিয়েছিলেন দিবালা। গত ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো জুভেন্টাসের হয়ে গোল পেয়েছেন। তবে সাবেক সতীর্থদের বিপক্ষে হারে হতাশ হয়েছেন তিনি। পাঁচবারের ব্যালন ডি অর বিজয়ী এই পর্তুগিজ তারকা বেশ সময় নিয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাবটিতে নিজেকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে। ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি সুযোগ দিলে রোনালদোর সঙ্গে কঠিন সময় জয় করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দিবালা।
দলের ব্যাপারে দিবালা বলেন, ‘কোচ আমাদের যেখানে খুশি খেলার অনুমতি দিয়েছেন এবং আমার মনে হয় এটি প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করতে সাহায্য করবে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এমন একজন খেলোয়াড়, যে বামদিকে বেশি খেলে। তবে সে সবখানেই পারদর্শী। এমনকি আমি ম্যানচেস্টারের বিপক্ষে তার পাস থেকে যে গোলটি করেছিলাম, সেটিও ডানদিক থেকে এসেছিল। যখন মারিও মানজুকিচ খেলে, সে সাহায্যকারীর চেয়েও বেশি কিছু। ডগলাস ও ফ্রেডরিকো বার্নার্দেশি খেললে আমাদের আক্রমণভাগের অনেক বিকল্প তৈরি থাকে। আমি মনে করি, কোচ আমাদের সবাইকে দলে খেলানো কঠিন মনে করেন। কারণ আমরা সবাই ভালো খেলছি এবং আক্রমণও খুব ভালো হচ্ছে। তাই এটা (খেলোয়াড় নির্বাচন) তাঁর জন্য সোজা বলে আমার মনে হয় না।’
রোনালদোকে দলে আনার পর বদলে গেছে জুভেন্টাস দল। এমনকি গত ম্যাচে আত্মঘাতী গোল না হলে জয় আসতো না ইউনাইটেডের। সেই অবস্থা থেকে এত খুশি হয়ে মরিনিয়োর উদযাপন চোখে লাগারই কথা। তবে দিবালাদের আচরণও চোখে লেগেছে ভক্তদের। ঘরের মাঠে এমন হার যেকোনো দলেরই মেনে নিতে কষ্ট হবে। তাতে মরিনিয়ো উত্তাপ ছড়ালেও তাঁকে অপমান করেননি দিবালা। তবে মরিনিয়োর শুরু করা এই মানসিক দ্বন্দ্ব দুই দলের যেকোনো ম্যাচকে ভবিষতে আরো উত্তেজনাপূর্ণ করবে বলে ধারণা ভক্তদের।
Facebook Comments