প্রত্যাশিত জয়ে শুরু বাংলাদেশের
1 min readলক্ষ্য ২৭২ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল জিম্বাবুয়ে। সাত ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান তুলেছিল তারা। কিন্তু সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি অতিথি দলটি। মাত্র ১৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে যে চাপে পড়ে তারা, পরবর্তীতে তা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি। স্বাগতিক বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ২৪৩ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস। তাই সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ২৮ রানে জিতেছে লাল-সবুজের দল।
আজ রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ইমরুল কায়েসের অসাধারণ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশ ২৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ গড়ে। বাংলাদেশের মতো দলের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে এই লক্ষ্য টাপকানো যে বেশ কঠিন, সেটা ভালোভাবেই বুঝেছে অতিথি জিম্বাবুয়ে।
সিফাস জুওয়াও জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ স্কোরার। ওপেনিংয়ে নেমে তিনি ২৪ বলে ৩৫ রানের একটি ইনিংস খেলেন। তিনি ফিরে গেলে অন্যরাও ব্যস্ত হয়ে পড়েন আসা-যাওয়ায়। ক্রেগ আরভিন (২৪), পিটার মুর (২৬) ও শন উইলিয়ামস (৫০) ছোট ছোট কয়েকটি ইনিংস খেলেছেন ঠিক, কিন্তু দলের হার এড়াতে পারেননি।
মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৬ রানে তিনটি এবং নাজমুল ইসলাম অপু ৩৮ রানে দুই উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান।
এদিন বাংলাদেশ বড় সংগ্রহ গড়লেও শুরুটা মোটেও ভালো হয়ানি। ওপেনার লিটস দাস (৪) দ্রুত আউট হয়ে গেলে বড় ধাক্কা লেগেছিল দলের ইনিংসে। দলীয় ১৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেন তিনি। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আউট হয়ে যান অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান ফজলে রাব্বিও। তিনি ঝুলিতে কোনো রান নিতে পারেননি। এরপর আশা জাগিয়েও দ্রুত ফিরেন মুশফিকুর রহিম (১৫)।
অবশ্য চতুর্থ উইকেটে ইমরুল ও মিঠুন দারুণ একটি পার্টনারশিপ গড়েন। দুজনে মিলে করেন ৭১ রান। মিঠুন ৪০ বলে ৩৭ রান করে সাজঘরে ফিরেন। এরপর দ্রুত ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ (০) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (১)।
সপ্তম উইকেট জুটিতে সাইফুদ্দিনকে সঙ্গে ইমরুল আবার রুখে দাঁড়ান। সফলও হন। গড়েন একটি রেকর্ড পার্টনারশিপ, ১২৭ রান। আর ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলে ইমরুল দলকেও গড়ে দেন চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
ইমরুল ১৪০ বলে ১৪৪ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন। যাতে ১৩ চার ও ছয়টি ছক্কার মার রয়েছে। এটি তাঁর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তরুণ সাইফুদ্দিনও ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলেন। ৬৯ বলে ৫০ রান করেন তিনি।
Facebook Comments