ফ্রান্সের বিপক্ষে জয় চায় আর্জেন্টিনা
1 min read‘হয় এবার, না হয় কখনো না।’ এই স্লোগানকে সঙ্গী করে রাশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্বে বেশ বড় ধাক্কা খেলেও নিজেদের সামলে নিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে লাতিন আমেরিকার দেশটি। নক আউট পর্বে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ফ্রান্স। অন্য কিছু নিয়েও ভাবছে না আর্জেন্টাইন শিবির। ফ্রান্সের বিপক্ষে কেবলমাত্র জয়ের লক্ষ্য লিওনেল মেসিদের।
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচে জয় ও এক ম্যাচে ড্র নিয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে আছে ফ্রান্স। তবে ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকা দিয়ে আসলে ফ্রান্সের মাঠে পারফর্ম্যান্স বিবেচনা করা যাবে না। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স অনায়াসে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করলেও গ্রুপ পর্বে তারা গতিময় ফুটবল খেলতে পারেনি। নিজেরা মাত্র এক গোল হজম করলেও প্রতিপক্ষকে দিতে পেরেছে মাত্র তিন গোল। যার মধ্যে একটি এসেছে স্পট কিক থেকে, অন্যটি আত্মঘাতী।
অন্যদিকে, দু’বারের বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের আগে থেকেই দুর্ভাগ্য পিছু নিয়েছে। বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠা নিয়ে শংকায় থাকা দলটি শেষ মুহূর্তে ইকুয়েডরের বিপক্ষে লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে রাশিয়ায় যাওয়ার টিকেট পায়। গ্রুপ পর্বেও তারা সুবিধা করতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ সমতা, দ্বিতীয় ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে পরাজয়ের পর বেশ কঠিন সমীকরণের মুখোমুখি হতে হয় আর্জেন্টিনাকে। এত সমীকরণ মিলিয়ে জয় নিয়ে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করাটা বেশ শক্তই ছিল মেসিদের কাছে। তবে ভাগ্যদেবী আশাহত করেনি দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে দেখা গেল পুরোপুরি ভিন্ন চিত্র। প্রত্যাশিত দুর্দান্ত আর্জেন্টিনাকেও পাওয়া গেল মাঠজুড়ে। নাইজেরিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত করেছে আকাশি-সাদা জার্সিধারীরা।
শেষ ষোলোতে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা একে অপরের মুখোমুখি হবে। আগামী শনিবার কাজানে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। গ্রুপ পর্বে দুই দলই নিজেরদের প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি। আর্জেন্টিনা দলের জন্য আশার কথা, দলের সেরা তারকা মেসি শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠেছেন, গোলও পেয়েছেন। প্রথম দুই ম্যাচের চেয়ে শক্তিশালী আর্জেন্টিনাকে দেখা গেছে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে।
অন্যদিকে, ফ্রান্স দলের সেরা তারকারা এখনো জ্বলে উঠতে পারেননি। অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান, পল পগবা, উসমানে ডেম্বেলে, কিলিয়ান এমবাপে, অলিভার জিরুদরা নিজেদের নামের প্রতি এখনো সুবিচার করতে পারেননি।
নয় বছর আগে ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা শেষবারের মতো একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। অবশ্য, আর্জেন্টিনা শেষ দুই ম্যাচ থেকে কিছুটা আত্মতৃপ্তিতে ভুগতে পারে। কারণ শেষ দুই ম্যাচে ফ্রান্সের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল মেসি বাহিনীরাই। অবশ্য প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবতে রাজি নয় আর্জেন্টিনা। তাদের জয় দরকার। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক না কেন, নিজেদের সামর্থ্যের পুরোটা দিয়েই জিততে চায় হোর্হে সাম্পাওলির দল।
Facebook Comments