রুনির বিদায়ী ম্যাচে ইংলিশদের জয়
1 min readশেষটা ভালোই হয়েছে ওয়েইন রুনির। ইংল্যান্ডের জার্সিতে সর্বশেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে তাঁর দল। গতকাল ওয়েম্বলিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-০ গোল ব্যবধানে হারিয়েছে গ্যারেথ বেলদের দল। শেষ ম্যাচে সতীর্থদের উপহার বেশ ভালোভাবেই মনে রাখবেন রুনি।
নিজের বিদায়ী ম্যাচে গোল করতে পারেননি ইংলিশ ফরোয়ার্ড রুনি। তবে জিতেছে তাঁর দল। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে আক্রমণে ওঠার চেষ্টায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাঁদের রক্ষণভাগের দুর্বলতার সুযোগে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছেন অ্যালি ও জেসি লিনগার্ড। অসাধারণ এক বাঁকানো শটে লিনগার্ড বল জালে জড়িয়েছেন।
ঠিক দুই মিনিট পরেই দলকে এগিয়ে দেন লিভারপুলের রক্ষণভাগ খেলোয়াড় ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর্নল্ড। রক্ষণভাগ খেলোয়াড়রা বল বিপদসীমা থেকে বের করতে পারেনি তখনো। এ সুযোগেই গোল করেন তিনি। দুটি গোল হজমের পরেই যুক্তরাষ্ট্র রক্ষণাত্মক খেলতে শুরু করে। অবশ্য প্রথমার্ধে কোনো দলই আর গোল পায়নি।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর কিছুক্ষণ পরেই লিনগার্ডের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ওয়েইন রুনি। তবে তিনি বিদায়ী ম্যাচে গোল না পেলেও অভিষেক ম্যাচে গোল পেয়েছেন ক্যালাম উইলসন। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এই ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের অভিষেক ম্যাচে তাঁকে অ্যাসিস্ট করেছেন ফ্যাবিয়ান ডেলফ। ডেলফের পাসকে অসাধারণ এক ভলি করে জালে বল জড়ান উইলসন। ফলে ব্যবধান বেড়ে ৩-০ গোলে দাঁড়ায়। এরপর আর কোনো গোলের দেখা পায়নি দুই দল।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করেছেন রুনি। তাঁর গোলসংখ্যা ৫৩টি। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষিক্ত এই ফরোয়ার্ড ২০১৫ সালেই পেছনে ফেলেছেন ৪৯ গোল করা ববি কার্লটনকে। বিদায়ী এই ম্যাচের আগে শেষ দলের হয়ে ২০১৬ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। অবশ্য সেই ম্যাচেও ফলাফল ছিল ৩-০।
অবশ্য এর আগেই একবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছিলেন রুনি। ২০১৭ সালে সেই ঘোষণা দিলেও ‘দ্য ওয়েইন রুনি ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল’-এর জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য শেষবারের মতো মাঠে নামতে সম্মত হন তিনি। এই ম্যাচের মাধ্যমেই জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করলেন রুনি।
Facebook Comments