জয় দিয়ে সিরিজে টিকে থাকল ভারত
1 min readইংল্যান্ড সফরে গিয়ে প্রথম দুটি টেস্টেই হারের মুখ দেখতে হয়েছিল ভারতকে। প্রথম টেস্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও লর্ডসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ভারত হেরেছিল ইনিংস ব্যবধানে। তবে সিরিজে টিকে থাকার তৃতীয় টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। বিরাট কোহলির দারুণ ব্যাটিং ও হার্দিক পান্ডিয়া-জাসপ্রিত বুমরাহর দারুণ বোলিংয়ে ২০৩ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে ভারত। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ জয়ের আশা টিকিয়ে রেখেছে। অবশ্য এখনো ইংল্যান্ড এগিয়ে আছে ২-১ ব্যবধানে।
দুই ইনিংসেই দারুণ ব্যাট করে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক কোহলি। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩ রানের জন্য পূর্ণ করতে পারেননি শতরান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আর আক্ষেপ করতে হয়নি তাঁকে। এবার তিনি খেলেছেন ১০৩ রানের ইনিংস। সেইসঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে জ্বলে উঠেছিলেন চেতেশ্বর পুজারা। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৭২ রান। আর শেষ পর্যায়ে ৫২ বলে ৫২ রানের ওয়ানডে-সুলভ ইনিংস খেলেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ফলে সব মিলিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ৩৫২ রান সংগ্রহের পর ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে ভারত। ইংল্যান্ডের সামনে দাঁড়িয়েছে ৫২১ রানের দুরূহ লক্ষ্য।
ফলে জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শেষ হওয়ার পরেই। এরপর বল হাতেও দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন বুমরাহ-পান্ডিয়ারা। চতুর্থ দিনের খেলায় ৬২ রান জমা করতেই ইংল্যান্ড হারিয়েছিল চারটি উইকেট। পঞ্চম উইকেটে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে কিছুটা আশার আলো জ্বালিয়েছিলেন জস বাটলার ও বেন স্টোকস। ১০৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান বাটলার। তখনই প্রায় শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের জয়ের আশা। স্টোকসের ব্যাট থেকে এসেছে ৬২ রান। চতুর্থ দিনের খেলা শেষেই ইংল্যান্ড হারিয়েছিল ৯টি উইকেট। ভারতের জয়টা ছিল শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
পঞ্চম দিনের খেলায় সেই একটি উইকেট তুলে নিতে অপেক্ষাও খুব বেশি করতে হয়নি ভারতকে। মাত্র ১৭টি বল করেই কাঙ্ক্ষিত একটি উইকেট তুলে নিয়েছে সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে গেছে ৩১৭ রানে। ফলে ভারত পেয়ে গেছে ২০৩ রানের বড় জয়।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের পক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। দুটি উইকেট শিকার করেছেন ইশান্ত শর্মা। একটি করে উইকেট গেছে অপর দুই পেসার মোহাম্মদ শামি ও হার্দিক পান্ডিয়ার ঝুলিতে। পঞ্চম দিনে ইংল্যান্ডের শেষ উইকেটটি শিকার করেছেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন।
Facebook Comments