২০ বছর পর ফের বিশ্বজয়ী দেশঁর ফ্রান্স
1 min read
Read Time3 Minute, 36 Second
১৯৯১ সালে জন্ম হওয়া একটা দেশ। ১৯৯৮ থেকেই তারা আবার বিশ্বকাপে খেলে। প্রথমবার বিশ্বকাপে নেমেই আবার সেমিফাইনালে। কিন্তু সেবার শেষ চারের লড়াইয়ে তাদের স্বপ্নের দৌড় থামিয়ে দিয়েছিল ফ্রান্স। কুড়ি বছর পর আবার ক্রোয়েশিয়ার সামনে সেই ফ্রান্স। মধুর প্রতিশোধের সুযোগ। সবই যেন একটা সাজানো স্ক্রিপ্টের মতো ব্যাপার। সেই সাজানো স্ক্রিপ্ট পূর্ণতা পেয়ে যেত ক্রোয়েশিয়া চ্যাম্পিয়ন হলেই। কিন্তু ফুটবল ইতিহাসে ভবিতব্য হিসাবে যেন অন্য কিছুই লেখা ছিল। আর সেটা অবশ্যই ক্রোয়েশিয়ার কাছে নিষ্ঠুর ভাগ্য লিখনের মতো। এত আবেগ, এত সমর্থন, এত লড়াই সঙ্গে নিয়ে ফাইনালে ওঠা দল ক্রোয়েশিয়া শেষমেশ ফ্রান্সের গঠনমূলক ফুটবলের কাছে হেরে বসল। যদিও এই হার কিন্তু সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের মন থেকে লড়াকু ক্রোয়েশিয়াকে মুছে দেবে না। তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাস থাকবে অমলিন।
১৮ মিনিটে ক্রোয়েশিয়া বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের ভাসানো শটে ভুল করে মাথা ছুঁইয়ে দেন মানজুকিচ। বিশ্বকাপ ফাইনাল শুরুর মিনিট কয়েকের মধ্যে গোল পেয়ে ক্রোয়েশিয়াকে চাপে ফেলে দিদিয়ের দেশঁর ছেলেরা। ক্রোয়েশিয়াকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে দেন গত ম্যাচের নায়ক পেরিসিচ। বাঁ পায়ের দারুন শটে ফরাসী গোলকিপার হুগো লরিসকে পরাস্ত করেন তিনি। একটা সময় পেরিসিচের ফাইনাল ম্যাচে খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। বাঁ পায়ের থাইয়ের পিছন দিকে চোট পেয়েছিলেন পেরিসিচ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতে উঠে মস্কোর এক হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য যেতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শেষমেশ তাঁকে প্রথম থেকেই খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ দালিচ। গোল করে উঠে চোটগ্রস্থ বাঁ পাটাই বারবার দেখাচ্ছিলেন পেরিসিচ। যদিও ক্রোয়েশিয়াকে ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি তাঁর সেই বাঁ পায়ের জৌলুস।
৫৯ ও ৬৫ মিনিটে পর পর দুটি গোল করেন পল পোগবা ও কিলিয়ান এমবাপে। তার পরই বিশ্বজয়ের লড়াই থেকে ধীরে ধীরে ছিটকে যেতে থাকে ক্রোয়েশিয়া। যদিও ফ্রান্সের গোলকিপার লরিসের ভুলে শেষমেশ একটি গোল উপহার হিসাবে পান মানজুকিচ। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি। দুদশক পর ফের যোগ্য দল হিসাবে বিশ্বকাপ জিতল ফ্রান্স।
Facebook Comments