নির্দিষ্ট সময়েই মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল(ফুটবল)
1 min readঅনেক সময় পার করার পরে এখন অন্তত লিগ পেছানোর ইচ্ছা নেই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। তবে, ঢাকার বাইরে আট ভেন্যুতে খেলা গড়ানোর আশ্বাস থাকলেও ভেন্যু কমতে পারে। জুনের মধ্যেই লিগ শেষ করার ইচ্ছা ফেডারেশনের। অন্ততপক্ষে জুলাইয়ের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে এবারের বিপিএল আসর শেষ করার ইচ্ছা বাফুফের।দেশের ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্লাবগুলোর ‘অসন্তোষ আর অনিচ্ছার’ কারণে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (ফুটবল) নির্দিষ্ট সময়ে মাঠে গড়ানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। তারই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে এত দেরি হল তবে, সূত্র বলছে– নির্দিষ্ট সময়েই মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএলের এগারতম আসরটি!যা সঠিকভাবে জানা যাবে আগামী শনিবার (১২ জানুয়ারি) ২০১৯।
যদিও ঘরোয়া ফুটবলের এই সর্বোচ্চ আসর পেছানোর সংস্কৃতি ‘ঐতিহ্যগত’। এর আগেও বহুবার পিছিয়েছে বিপিএল। সবশেষ মৌসুমও পিছিয়েছিল দেড় মাসের মতো। এবারও নির্বাচন ও ক্লাবগুলোর অনিচ্ছায় কয়েকদফা পিছিয়ে জানুয়ারিতে করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিপিএলের পরিবর্তে ওই সময়ে স্বাধীনতা কাপ মাঠে গড়িয়েছে।
এবার ৮টি ভেন্যু নিয়ে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ ১৩ দলকে নিয়ে জানুয়ারির ১৮ তারিখ থেকে বিপিএলের ২০১৮–১৯ মৌসুম মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা বাফুফের। পরিকল্পনা মোতাবেক চলতি মাসের ১৮ তারিখ খসড়া ফিক্সচার করে ক্লাবগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল ফেডারেশন।’শেষ খবর বলছে, বেশিরভাগ ক্লাবই এবার চাচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লিগ শেষ করতে। কারণ বিদেশি–স্থানীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে জুন মাস পর্যন্ত চুক্তি আছে ক্লাবগুলোর। লিগ পেছালে বড় আর্থিক ক্ষতিসহ দলবদলেও সংকট তৈরি হতে পারে। যদিও খসড়া ফিক্সচারে লিগ আগস্টে শেষ হবে বলে উল্লেখ আছে। তবে, শনিবার পেশাদার লিগ কমিটিতে আগস্ট থেকে কমিয়ে জুন–জুলাইয়ে করার ইচ্ছা পোষণ করেছে বাফুফে। ক্লাবগুলোকে নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে কমিটি।
বাফুফে সূত্রে জানা যায়, বিপিএলের সকল ভেন্যুর বরাদ্দ নিশ্চিত করেছে ফেডারেশন। তার মধ্যে পাঁচটি ভেন্যুর সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ স্টেডিয়াম আছে। দুটি ভেন্যু আলোচনা সাপেক্ষে কমতে পারে। তবে ফেডারেশন চায়– চলতি বছরের জুন বা জুলাইয়ের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে লিগ শেষ করতে। এর আগে নির্দিষ্ট সময়ে চলতি মাসের ১৮ তারিখ শুরু করা যায় কিনা এ নিয়ে ক্লাবগুলোকে ৪ জানুয়ারির মধ্যে চিঠি পাঠানোর আবেদন করেছিল বাফুফে। তারই প্রেক্ষিতে ৩ ও ৪ জানুয়ারি ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে পেশাদার লিগ কমিটির আলোচনার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংঘ ও নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব সঙ্গে ছিল পেছানোর দাবি। তবে, বেশিরভাগ ক্লাব এখন চায় এই সময়েই লিগ শুরু করতে।
তবে বাফুফে চায়‘এই ফিক্সচারে যেমন শুক্রবার–শনিবার–রোববার এই তিন দিন ম্যাচ রাখার বিষয়টি ছিল তাতে চারদিনের মতো গ্যাপ থাকে। এই গ্যাপটা আরেকটু কমিয়ে ও হোম–অ্যান্ড–অ্যাওয়ের বিষয়টি পরিকল্পনা করে আমরা জুনের মধ্যে শেষ করা সম্ভব। এ জন্য ক্লাবগুলোর সহযোগিতা কাম্য। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে শনিবার (১২ জানুয়ারি) পেশাদার লিগ কমিটির বৈঠকে। ক্লাবগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে লিগের।
Facebook Comments