টটেনহ্যাম-চেলসি ম্যাচে ‘ভিএআর’ বিতর্ক
1 min readকারাবাও কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে টটেনহামের মাঠ ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম থেকে হেরে এসেছে চেলসি। হ্যারি কেনের পেনাল্টি গোল আর পরে শোধ করতে পারেননি হ্যাজার্ডরা। আর এই পেনাল্টিটা টটেনহাম পেয়েছে ‘ভিএআর’ এর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে পুঁজি করে!
কারাবাও কাপের প্রথম লেগে বিতর্কিত পেনাল্টিতে ১-০ গোলে জিতেছে টটেনহাম হটস্পার। ফলে দ্বিতীয় লেগের আগে একটু হলেও সুবিধাজনক অবস্থানে আছে তারা। ওদিকে রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে হেরে যাওয়ায় ফুঁসছে চেলসি।
বিতর্কের সূত্রপাত ম্যাচের ২৪ মিনিটে। অফসাইডে থাকা হ্যারি কেনকে আটকানোর প্রয়োজন মনে করেননি চেলসির ডিফেন্ডাররা। কিন্তু মাঠের রেফারি মাইকেল অলিভার ও ভিডিও রেফারি, দুজনের কারও চোখেই কেনের অফসাইড অবস্থা ধরা পড়েনি। ‘ভিএআর’ ভিডিওতেও হ্যারি কেনকে অফসাইড বলে মনে হয়নি। কেনকে থামাতে বক্সের মধ্যে ফাউল করে বসেন চেলসির গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগা, ডি-বক্সে পড়ে যান টটেনহামের অধিনায়ক। টটেনহামের পক্ষে সেই পেনাল্টিটা ‘উপহার’ দিতে আর কোনো ভুল করেননি রেফারি।
বিতর্কিত সে গোল ম্যাচের বাকিটা সময় আর পরিশোধ করতে পারেনি চেলসি। কান্তে, হাডসন-ওডোইের দুটি শট পোস্টে লাগার দুর্ভাগ্যও সঙ্গী হয়েছে তাদের। ম্যাচ শেষে নিজের আক্ষেপ লুকাননি চেলসির কোচ মরিজিও সারি, ‘আমার মনে জয় ইংলিশ রেফারিরা এখনো ভিএআর ঠিকমতো ব্যবহার করতে শেখেননি। আমি কয়েক মিনিট আগে আমাদের একটা ক্যামেরায় দেখলাম, কেন অবশ্যই অফসাইডে ছিল। সে সময় অবশ্যই কেনকে থামানো উচিত ছিল। ইতালির লিগেও দেখেছি, ‘ভিএআর’ যখন চালু হলো, প্রথম দিকে পদ্ধতিটা বুঝতে সবার সমস্যা হতো। আমার মনে হয় ইংলিশ রেফারিরা এখনো এই প্রযুক্তিটা ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারেনি। এটা এমন একটা পদ্ধতি, যেটা প্রিমিয়ার লিগে ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু কারাবাও কাপে ঠিকই ব্যবহার করা হয়।’ পরে সারি নিজের ল্যাপটপ নিয়ে কেনের অফসাইডে থাকার প্রমাণ উপস্থাপন করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের। সেখানে দেখা গেছে সারির দাবি সঠিকই।
এই বিতর্ককে মাটিচাপা দিয়ে কারাবাও কাপের ফাইনালে ওঠার এখনো যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে চেলসির সামনে। ২৪ তারিখে নিজেদের মাঠে টটেনহামের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগ খেলবে তারা। নিজেদের মাঠে খেলার সুবিধা নিয়ে মোটামুটি দুই গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জিততে পারলেই ফাইনালে উঠতে পারবে চেলসি।
Facebook Comments