NEW ERA OF ESPORTS IN BANGLADESH মোবাইল গেমিং এবং ই-স্পোর্টস বাংলাদেশ
1 min readই-স্পোর্টস, টার্মটি এখন আর মোটেও অপরিচিত নয়। শতাব্দীর গোড়ার দিক থেকে এটির ব্যাপক পরিসরে যাত্রা শুরু বলা যেতে পারে। WCG (world cyber games) এর মাধ্যমে ১ম বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের ইস্পোর্টস এর যাত্রা শুরু। ই-স্পোর্টসকে একটা সদ্য আবিষ্কৃত স্বর্ণখনির সাথে তুলনা করা যেতে পারে। ২০১৬ থেকে এর দর্শকসংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬-১৭ সালে সচরাচর দর্শকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯.৩ %, ২০১৭ সালে অনিয়মিত দর্শক ছিল ১৯২ মিলিয়ন এবং নিয়মিত দর্শকের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৪৩ মিলিয়ন, যা মোট দাঁড়ায় ৩৩৫ মিলিয়ন।
এছাড়া বাংলাদেশে মূলত গেমিং ক্যাফে ভিত্তিক টুরনামেন্ট সারা বছর ধরেই থাকে। পাব্জি এখন এই ধাপে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশে। দেশে ই-স্পোর্টস খ্যাত গুটি কয়েকটি সংগঠনের ভিতর স্বনামধন্য একটি হচ্ছে বিডি মারটিয়ারস (BD MARTYRS) । তরুন প্রজন্মকে সামনে রেখে অনবরত কাজ করে যাচ্ছে অর্গানাইজেশনটি। সম্প্রতি পাব্জি মোবাইলের আয়োজিত অফিসিয়াল একটি টুর্নামেন্টে তাদের একটি দল বাংলাদেশের সেরা ৩২ টি দলের মধ্যে জায়গা করেছে।
Founder Minhaz Ahmed Emon এর মারটায়ারস ১৯৭১ খ্যাত দলটির খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন উৎসব চন্দ্র বর্মণ ওরফে MARTYRsFliNT (দলনেতা), তাসিনুল ইসলাম সানি ওরফ MARTYRsHITMAN, ফারহান ইউসুফ ওরফে MARTYRsNiNJA, ওয়ালিদ দেয়ান ওরফে MARTYRsPOTATO, রিশাদ রাজিম ওরফে MARTYRsXOXOX, ফাহিমুল ইসলাম ওরফে MARTYRsXiXSO এবং ভবিষ্যতে তারা দলকে আরও বড় পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে চায়
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মিনহাজ আহমেদ ইমন বলেন আমাদের দেশে ই-স্পোর্টস সম্পূর্ণভাবে নতুন হলেও বিভিন্ন দেশে ই-স্পোর্টসকে অনেকেই পেশা হিসেবে তৈরি করে নিয়েছেন। শুধু গেমিং কম্পিটিশনই নয়, প্রতিনিয়ত ইউটিউব আর টুইচ এ স্ট্রিমিং এবং ভিডিও আপলোড করে আয় করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ছেন অনেক গেমার। তিনিও দেশের জন্য এরকম প্রতিভা বের করতে চান। বর্তমানে তার গঠিত ই-স্পোর্টস ক্লান টিতে ১২ টিরও বেশি ছেলেদের দল এবং তিনটি সম্পূর্ণ মেয়েদের দল রয়েছে। তিনি আরো বলেন ইচ্ছা থাকলে শুধু ছেলেরা না মেয়েরাও অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন এই প্রফেশনাল পর্যায়ের দক্ষ ই-স্পোর্টসকে
আমরা সকল বাংলাদেশী টিম যারা ই-স্পোর্টস এ অংশগ্রহণ করেছে কিংবা ফিউচারে করবে তাদেরকে আমরা সাপোর্ট করছি এবং উৎসাহ দিচ্ছি।
এই ইভেন্টগুলোতে জয়ী হলো আমাদের দেশে অনেক বড় পরিমাণে রেভেনিউ আসবে যা দেশের অর্থনীতিতে অনেক ভালো ভূমিকা রাখবে। সাথে বাংলাদেশকেও বিশ্বের সামনে তুলে ধরা কিংবা রিপ্রেজেন্ট করার অন্য একটি মাধ্যম হচ্ছে এই ই-স্পোর্টস!
বাংলাদেশী সকল ই-স্পোর্টস টিম গুলোর জন্য আমাদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
পরিবর্তন হোক চিন্তা ভাবনা।
লেখিকা: ফারহিন সারাহ
Facebook Comments