৪-১ গোল ব্যবধানে লজ্জার হার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের
1 min readমোহামেডানকে একেবারে ছেলেখেলা করে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। সঙ্গে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এগারতম আসরে প্রথম ম্যাচে হারের স্বাদ পাওয়া মারুফুল হকের শিষ্যরা দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে জয় দিয়েই।
ঘরের মাঠ ময়মনসিংহের রফিক উদ্দীন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়েছে ৪-১ গোল ব্যবধানে। হ্যাটট্রিক করেছেন জাহিদ হোসেন। এর আগে প্রথম ম্যাচে একই ভেন্যুতে ১-০ গোল ব্যবধানে হেরেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কাছে হেরেছিল আরামবাগ। ওই দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টিম বিজেএমসিকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২-১ গোল ব্যবধানে হারিয়েছিল মোহামেডান।
স্বাধীনতা কাপ ও ফেড কাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়া মোহামেডান এবার লিগের মিশন জয় দিয়ে শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ভরাডুবি দেখেছে। অতীত পরিসংখ্যান বলে- বিপিএলে মোহামেডান-আরামবাগের ১৬ বারের দেখায় মোহামেডান জয়ী হয়েছে ১১ বার, ৫ বার খেলা শেষ হয়েছে অমীমাংসিতভাবে। মোহামেডানের ৩৩ গোলের বিপরীতে আরামবাগের গোল ৯ টি। ২০১০ সালের আসরে এমিলির হ্যাট্রিকসহ ৫ গোলে আরামবাগকে ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল মোহামেডান!
মতিঝিলের সেই ডার্বিকে একপেশে করে জিতেছে আরামবাগ।
ম্যাচের ১২ মিনিটে আরামবাগের দলীয় পারফরমেন্সের ফসল। মাঝ মাঠ থেকে কাপ্তান রবিউল বল পেয়ে এগিয়ে দেন পল এমিল বিয়াগার দিকে। বল নিয়ে ক্যামরুল স্টাইকার পল এমিল বিয়াগা ডি বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েন। মোহামেডানের গোলকিপার সাদ ইশতিয়াক এগিয়ে আসলে ঠান্ডা মাথায় বক্সের অপর প্রান্তে ফাঁকায় থাকা জাহিদ হোসেনকে পাস বাড়িয়ে দেন এমিল। সেখান থেকে বল জালে জড়াতে এতোটুকু ভুল করেন নি দেশি স্টাইকার। লিড পায় মারুফুল হকের শিষ্যরা।
প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকা আরামবাগের সঙ্গে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে আলি আজগর নাসিরের শিষ্যরা। ৫৯ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় মোহামেডান। শট না নিয়ে ল্যান্ডিং ডারবোয়ে ডি বক্সের সামনে বল ঠেললে স্পট শট থেকে দুর্দান্ত গতিতে বল জালে জড়ান রাব্বি। ১-১ গোল ব্যবধানে সমতা।
উদযাপনের সময় পায় নি মোহামেডান। ৬৬ মিনিটে আরেকটি ধাক্কা আরামবাগ শিবিরের। ফ্রি-কিক থেকে জাহিদের গোল। বারের বাঁ পাশ দিয়ে নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। পিছিয়ে থেকে আক্রমণে উঠে মোহামেডান। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে গোল খেয়ে বসে সাদা-কালোরা। ৭৬ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে আরিফুর রহমানের পাস থেকে ডি বক্সের ভেতর থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান সিনেদু।
ততখনে জয় প্রায় নিশ্চিত আরামবাগে। না থেমে নেই রবিউল-জাহিদরা। ৮৪ মিনিটে এবার চোখের নিমিষে গোল। আরামবাগের গোলরক্ষক মাঝহারুল ইসলামের বল ভলিতে এগিয়ে দেন সিনেদুকে। মাঝমাঠ থেকে বল সামনে নিয়ে গিয়ে এগিয়ে দেন আরিফুর রহমানকে। আরিফ বাড়িয়ে দেন ডি বক্সে ফাঁকায় থাকা জাহিদকে। সাইড ভলির গতির শট মুহূর্তে বারে লেগে জালে (৪-১)। হ্যাটট্রিক উপহার দেন জাহিদ।
প্রথম জয়ে তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। পয়েন্ট টেবিলের উপরে চার নম্বরে উঠে আসে আরামবাগ। অন্যদিকে দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট খুইয়ে সাতে নেমে এসেছে মোহামেডান।
Facebook Comments