৩৫ রানে অলআউট হওয়ার ঘটনা ঘটলো রঞ্জি ট্রফির আসরে
1 min readভারতে চলছে রঞ্জি ট্রফির আসরের নবম রাউন্ডের খেলা। যেখানে দুদিন আগেই মাত্র ৩৫ রানে অলআউট হয়েছিল ত্রিপুরা। দুদিন যেতে না যেতেই আবারো ৩৫ রানে অলআউট হওয়ার ঘটনা ঘটলো। এবার ৩৫ রানে অলআউট হয়েছে মধ্য–প্রদেশের দল। অন্ধ্র–প্রদেশের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫ রানে তিন উইকেট হারানো মধ্য–প্রদেশ এই ৩৫ রানেই সবকটি উইকেট হারায়। মাঝে ব্যবধান ছিল ২৩টি বল। এই ২৩ বলে কোনো রানই নিতে পারেনি দলটি ব্যাটসম্যানরা, দলটি হারায় শেষ ৬টি উইকেট।
এর আগে ত্রিপুরা নিজেদের প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩৫ রান। রাজস্থান অলআউট হওয়ার আগে করেছিল ২১৮ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ত্রিপুরা ১০৬ রান তুলে অলআউট হলে রাজস্থান জিতেছিল ইনিংস ও ৭৭ রানের ব্যবধানে। সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে সামিত প্যাটেলের নেতৃত্বে খেলতে নামা ত্রিপুরার ৯ নম্বর ব্যাটসম্যান নিলামবাজ সর্বোচ্চ ১১ রান করেছিলেন। আর কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। রাজস্থানের অনিকেত চৌধুরি ৫টি, হক ৩টি আর দীপক চাহার নেন একটি উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ত্রিপুরাকে ১০৬ রানে গুটিয়ে দিতে দীপক চাহার নিয়েছিলেন ৫টি উইকেট।
সেই ম্যাচের সমালোচনা শেষ হতে না হতেই এবার সমালোচকদের সুযোগ করে দিলো মধ্য–প্রদেশ। অন্ধ্র–প্রদেশের প্রথম ইনিংসে করা ১৩২ রানের জবাবে যারা নিজেদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছিল ৯১ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে অন্ধ্র–প্রদেশ ৩০১ রান করে অলআউট হয়। জবাবে, ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩৫ রানেই গুটিয়ে যায় মধ্য–প্রদেশ। তাতে ম্যাচ হারে ৩০৭ রানের বিশাল ব্যবধানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে নোমান ওঝার নেতৃত্বে খেলতে নামা মধ্য–প্রদেশের ওপেনার আরিয়ামান বিরলা ১২ আর পাঁচ নম্বরে নামা ইয়াস দুবে ১৬ রান করেন। আর কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় দলটি। এরপর আর কোনো রানই আসেনি। ৩৫ রানেই অলআউট হয় মধ্য–প্রদেশ। শেষ ২৩ বলে ০ রানে হারায় বাকি ছয়টি উইকেট। অন্ধ্র–প্রদেশের শশীকান্ত ৬টি এবং বিজয় কুমার ৩টি করে উইকেট পান।
রঞ্জি ট্রফির এই রাউন্ডে নাগাল্যান্ড ৪৬৭, পাঞ্জাব ৪৪৭, ওদিশা ৩৫২, সৌরাষ্ট্র ৩৫৬, তামিল নাড়ু ৪৩২, উত্তর–প্রদেশ ৬১৯, উত্তরখন্ড ৩৭৭ রানে অলআউট হয়েছিল। তাদের প্রতিপক্ষরাও লড়াইয়ের মতো জবাব দিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। অথচ এই রাউন্ডেই মহারাষ্ট্র ৭০ রানে অলআউট হয়। রেলওয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩১ রানে অলআউট হয়ে তারা ম্যাচটি হেরেছে ইনিংস ও ৫৮ রানের ব্যবধানে। এছাড়া, একই রাউন্ডে হরিয়ানার বিপক্ষে ৭৯ রানে অলআউট হয়েছিল সার্ভিসেস দল। হরিয়ানা ম্যাচ জিতে নেয় ৬ উইকেটের ব্যবধানে।
উল্লেখ্য, রঞ্জি ট্রফিতে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ ২১ রান। ২০১০–১১ মৌসুমে রাজস্থানের বিপক্ষে হায়দ্রাবাদ ২১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। এছাড়া, ১৯৩৪–৩৫ মৌসুমে নর্দান ইন্ডিয়ার বিপক্ষে ২২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল সাউদার্ন পাঞ্জাব। ২৩ রানে অলআউট হয়েছিল তিনটি ম্যাচে। সিন্ধ দলটি ১৯৩৮–৩৯ মৌসুমে সাউদার্ন পাঞ্জাবের বিপক্ষে দলীয় ২৩ রানে অলআউট হয়েছিল। জম্বু–কাশ্মীর ১৯৬০–৬১ এবং ১৯৭৭–৭৮ মৌসুমে দুবার দলীয় ২৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। প্রথমবার দিল্লির বিপক্ষে এবং দ্বিতীয়বার হরিয়ানার বিপক্ষে।
Facebook Comments