মোসাদ্দেক ব্যাটে সম্মানজনক রানে চিটাগং
1 min readবারবারই বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার ম্যাচে। ম্যাচ বেশ কিছুটা সময় বন্ধ রাখতে হয়েছে । পরে দুই দলের জন্য ১৯ ওভার করে নির্ধারণ করা হয়। চিটাগং ভাইকিংস এক ওভার কমে আসে টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়েছে । মাত্র ৭০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো একশর নিচে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু শেষদিকে তিনটি করে চার-ছক্কার মারে ২৫ বলে ৪৩ রান করে দলের মুখরক্ষা করেন মোসাদ্দেক। শেষপর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রানে থামে চিটাগংয়ের ইনিংস।
আর্দ্র আবহাওয়া আর ভেজা পিচে রান করতে রীতিমত ধুঁকেছেন চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানরা। ১৭ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে মুশফিকুর রহীমের দল। এরপর আর বড় পুঁজির পেছনে ছুটতে পারেনি। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে সাউফউদ্দিনের করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লিউ হন সাদমান ইসলাম। ওই ওভারেই শেষ বলে ইয়াসির আলিকেও এভিন লুইসের ক্যাচ বানান এই অলরাউন্ডার। দুজনই আউট হন শূন্যতে। দলের ব্যাটিং ভরসা ও অধিনায়ক মুশফিক শুরুটা করেছিলেন ভালোই। তবে ৭ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৬ রানে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে দুর্দান্ত সুইংয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। এরপর মেহেদী হাসানের শিকার করেন নাজিবুল্লাহ জাদরান, তিনি ৮ বলে ১৩ রান করে হন । এরপর শহীদ আফ্রিদি ঝলক তোলেন। পাকিস্তানি লেগস্পিনার ডেলপোর্ট (৬) আর সিকান্দার রাজাকে (৫) তুলে নিয়ে চিটাগংয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নটাও ভেঙে দেন । ১৩ ওভার শেষে ৭০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে আরো চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।
অষ্টম উইকেট জুটিতে অফস্পিনার নাঈম হাসানকে সাথে নিয়ে খানিক লড়াই করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দুজন মিলে যোগ করেন ২২ রান। ১৪ বলে ৪ রান করতে সক্ষম হন নাঈম। তবে অন্য প্রান্তে অবিচল ছিলেন মোসাদ্দেক। শেষদিকে তার ব্যাটেই মূলত একশ ছাড়ায় চিটাগংয়ের দলীয় সংগ্রহ। মোহাম্মদ সাঈফউদ্দীনের করা ১৮তম ওভারে দুই ছক্কার মারে ১৪ রান নেন তিনি। মোসাদ্দেক শেষ ওভারেও দুই চারের মারে ১০ রান নেন । শেষপর্যন্ত তিনি নিজে অপরাজিত থাকেন ৪৩ রান করে, দলের সংগ্রহকে নিয়ে যান ১১৬ রানে। কুমিল্লার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সাঈফউদ্দীন, ওয়াহাব রিয়াজ এবং শহীদ আফ্রিদি।
Facebook Comments