বৃথা যায়নি তারকাবহুল কিংসের প্রথম শিরোপা পাওয়ার স্বপ্ন
1 min readবুধবার (২৬ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে নেমে প্রথমার্ধের বেশীরভাগ সময়েই নিয়ন্ত্রণ ছিল শেখ রাসেলের হাতে। তবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা কাপ শিরোপা ম্যাচের ১৭ মিনিটে বসুন্ধরাকে এগিয়ে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস ভিনিসিয়াস।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল সাজিয়েও ফেডারেশন কাপের শিরোপা জেতা হয়নি। হতাশা আড়াল করে স্বাধীনতা কাপে নতুন উদ্যোমে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বসুন্ধরা কিংস। ২০১৮–১৯ মৌসুমের সবচেয়ে শক্তিশালী রক্ষণের দল শেখ রাসেলকে হারিয়ে জিতে নিল নিজেদের প্রথম শিরোপাও।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি ছিল শক্তিশালী রক্ষণের বিপক্ষে তারকায় ঠাসা দলের আক্রমণ শক্তির পরীক্ষা। সেই লড়াইয়ে জয় হল তারকায় ভরা বসুন্ধরারই। ম্যাচে গোল হয়েছে তিনটি, যার প্রতিটি ছিল চোখ জুড়ানো!
ম্যাচের ১৬ মিনিটে শুরুটা করেন মার্কোস ভিনিসিয়াস। ডি–বক্সের বাইরে থেকে বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের বাঁ–পায়ের দারুণ শটের সামনে কিছুই করার ছিল না শেখ রাসেল গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার।
এরপর ম্যাচে ফিরতে লড়াই করে শেখ রাসেল। ম্যাচের ২৯ মিনিটে সেই সুযোগও পেয়ে যায় তারা। তবে বাঁ দিক থেকে ডি–বক্সে ঢুকে রাফায়েলের নেয়া ডান পায়ের শট ঠেকান বসুন্ধরার গোলকিপার জিকো। তাতেই সুযোগ নষ্ট হয় শেখ রাসেলের। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে ম্যাচের ইনজুরি সময়ে ঠিকই গোল করে দলকে সমতায় ফেরান রাফায়েল। তাতেই প্রথমার্ধে ১–১ গোলে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দু’দল। দ্বিতীয়ার্ধের নির্ধারিত সময়ে গোল পায়নি কেউই। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই সুযোগ পেয়ে শেখ রাসেলের জালে হানা দেন বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামা বসুন্ধরার ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে লড়াই করেও আর গোল পায়নি শেখ রাসেল।
কার হাতে উঠছে বছরের শেষ টুর্নামেন্টের ট্রফি। এমন উত্তেজনা ছড়িয়েছিল স্বাধীনতা কাপের ফাইনালের আগে। আর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে মতিন মিয়ার গোলে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ঘরোয়া ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের প্রথম শিরোপা এটি। তবে টুর্নামেন্ট জুড়ে কষ্টের জয় নিয়েই ফাইনালে উঠতে হয়েছিল কিংসকে। কোয়ার্টার ও সেমিতে টাইব্রেকারে জয় নিশ্চিত করতে হয়েছে কিংসকে। টানা দুই ফাইনালে উঠে নবাগত দল বসুন্ধরা কিংসের সামনে ছিল শিরোপা ঘরে তোলার হাতছানি। তারকাবহুল কিংসের প্রথম শিরোপার স্বপ্নটাও এবার বৃথা যায়নি।
Facebook Comments