টাইগারদের ২০১৮

0 0

বাংলাদেশের ক্রিকেটে ঘটনাবহুল একটি বছর ছিল ২০১৮, ভালো–মন্দ দুটি দিক মিলিয়েই বছর শেষ করেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ তে টাইগাররা খেলেছে ৪৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এর মধ্যে ৮টি টেস্ট, ২০টি ওয়ানডে আর টি–টোয়েন্টি খেলেছে ১৬টি। তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশ ২০১৮ সালে জিতেছে ২১টি ম্যাচ। যার মধ্যে রয়েছে তিনটি টেস্ট, ১৩টি ওয়ানডে আর টি–টোয়েন্টি ৫টি ম্যাচ।

এবার চলুন একনজর এ দেখে আসি ২০১৮ সালের বাংলাদেশ ক্রিকেট এর পরিসংখ্যান

সর্বোচ্চ দলীয় রান (টেস্ট): ঢাকা টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত নভেম্বরে ৫২২/৭ (ডিক্লেয়ার্ড), সর্বোচ্চ দলীয় রান (ওয়ানডে): শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকায় গত ১৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ করেছিল ৩২০/৭, সর্বোচ্চ দলীয় রান (টি–টোয়েন্টি): কলম্বোয় গত ১০ মার্চ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ করেছিল ২১৫/৫, সর্বনিম্ন দলীয় রান (টেস্ট): ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে বাংলাদেশ গত জুলাইয়ে অলআউট হয়েছিল মাত্র ৪৩ রানে, সর্বনিম্ন দলীয় রান (ওয়ানডে): গত ২৫ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকায় বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল মাত্র ৮২ রানে, সর্বনিম্ন দলীয় রান (টি–টোয়েন্টি): ভারতের দেরাদুনে গত ৩ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল মাত্র ১২২ রানে, সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয় (টেস্ট): গত নভেম্বরে ঢাকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল ইনিংস ও ১৮৪ রানের ব্যবধানে। রানের বিচারে গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল ২১৮ রানের ব্যবধানে।, সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয় (ওয়ানডে): গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৬৩ রানের ব্যবধানে। আর ১৫ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতেছিল ৮ উইকেটের ব্যবধানে।, সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয় (টি–টোয়েন্টি): গত ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল ৩৬ রানের ব্যবধানে আর গত ১০ মার্চ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোয় বাংলাদেশ জিতেছিল ৫ উইকেটের ব্যবধানে।, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান (টেস্ট): ২০১৮ সালে আট টেস্টের ১৫ ইনিংসে মুমিনুল হক করেছেন ৬৭৩ রান। এছাড়া, মুশফিকুর রহিম ৪৯০, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪৭৬, লিটন দাস ৩০৪, মেহেদি হাসান মিরাজ ২৬২, সাকিব আল হাসান ২১৩ রান করে বছর শেষ করেছেন

ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান (ওয়ানডে): ১৯ ম্যাচ খেলে এ বছর সর্বোচ্চ ৭৭০ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়া, ১২ ম্যাচে তামিম ইকবাল ৬৮৪, ১৫ ম্যাচে সাকিব আল হাসান ৪৯৭, ৮ ম্যাচে ইমরুল কায়েস ৪৩৬, ২০ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ৪১৯, ১২ ম্যাচে লিটন দাস ৩৪০ রান করে বছর শেষ করেছেন।, ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান (টি–টোয়েন্টি): এই ফরম্যাটে ১৬ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪১৪ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া, ১৬ ম্যাচে মুশফিক ৩৯৭, ১৫ ম্যাচে তামিম ৩৫৪, ১৪ ম্যাচে লিটন দাস ৩৩৩, ১১ ম্যাচে সাকিব ২৪৮ রান করে বছর শেষ করেছেন।, ব্যক্তিগত ইনিংস সর্বোচ্চ (টেস্ট): গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত জানুয়ারিতে ১৭৬ রানের ইনিংস খেলেছেন মুমিনুল হক। এ বছর তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসও মুমিনুলের দখলে। নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন ১৬১ রান।, ব্যক্তিগত ইনিংস সর্বোচ্চ (ওয়ানডে): ৫০ ওভারের ফরম্যাটে এ বছর মুশফিক গত সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুবাইয়ে এশিয়া কাপের ম্যাচে করেছিলেন ১৪৪ রান। ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৪ রান করেছিলেন ইমরুল কায়েস। গত জুলাইয়ে উইন্ডিজদের বিপক্ষে তাদেরই মাটিতে তামিম করেছিলেন অপরাজিত ১৩০ রান, ব্যক্তিগত ইনিংস সর্বোচ্চ (টি–টোয়েন্টি): ২০ ওভারের এই ফরম্যাটে ভারতের বিপক্ষে কলম্বোতে নিদাহাস ট্রফিতে সাব্বির রহমান করেছিলেন ৭৭ রান। লুডারহিলে উইন্ডিজদের বিপক্ষে গত ৪ আগস্ট তামিম করেছিলেন ৭৪ রান। ৭২ রানের দুটি অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। একটি ১০ মার্চ কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অপরটি ১৪ মার্চ একই ভেন্যুতে ভারতের বিপক্ষে।, সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি (টেস্ট): ৮ টেস্ট ম্যাচে এ বছর মুমিনুল করেছেন চারটি সেঞ্চুরি। দুটি সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক।

সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি (ওয়ানডে): এ বছর সর্বোচ্চ দুটি সেঞ্চুরি করেছেন ইমরুল কায়েস। দুটি সেঞ্চুরির মালিক হয়েছেন তামিম ইকবাল। একটি করে সেঞ্চুরি পেয়েছেন সৌম্য সরকার, লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম।, সর্বোচ্চ ছক্কা (টেস্ট): মাহমুদউল্লাহ ২০১৮ সালে আটটি টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি পেয়েছেন, হাঁকিয়েছেন ৩৩টি চার আর ৫টি ছক্কা। মেহেদি হাসান মিরাজ ২২টি চারের সাহায্যে চারটি ছক্কাও পেয়েছেন। আর মুমিনুল হক ৬৩টি চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন চারটি ছক্কা।, সর্বোচ্চ ছক্কা (ওয়ানডে): ৫০ ওভারের এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ ১৫টি ছক্কায় বছর শেষ করেছেন মুশফিক, ছিল ৫৫টি বাউন্ডারি। সৌম্য সরকার ১৭টি চারের পাশাপাশি পেয়েছেন ১৩টি ছক্কা। আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৭টি বাউন্ডারির পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ১২টি ছক্কা।, সর্বোচ্চ ছক্কা (টি–টোয়েন্টি): ২০১৮ সালে ১৪টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৭টি ছক্কার দেখা পেয়েছেন লিটন দাস। ১৩টি ছক্কা আছে মাহমুদউল্লাহর আর ১২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তামিম ইকবাল।, সর্বোচ্চ উইকেট (টেস্ট): মাত্র সাতটি টেস্টের ১৩টি ইনিংসে বল করে সর্বোচ্চ ৪৩টি উইকেট নিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৮ ম্যাচের ১৪ ইনিংসে মেহেদি হাসান মিরাজ নিয়েছেন ৪১ উইকেট। ইনজুরিতে থাকলেও ৪ টেস্টের ৭ ইনিংসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।, সর্বোচ্চ উইকেট (ওয়ানডে): ৫০ ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে ২০১৮ সালে ১৮ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ২৯ উইকেট নিয়েছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। ২০ ম্যাচ খেলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ উইকেট নিয়েছেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। আরেক পেসার রুবেল হোসেন ১৫ ম্যাচে নিয়েছেন ২৩ উইকেট। সাকিব ১৫ ম্যাচে নিয়েছেন ২১ উইকেট। ২০১৮ সালে মিরাজের দখলে আছে পঞ্চম সর্বোচ্চ ১৮ উইকেট।

সর্বোচ্চ উইকেট (টি–টোয়েন্টি): ওয়ানডের মতো টি–টোয়েন্টির ফরম্যাটেও ২০১৮ সালে উইকেট শিকারের শীর্ষে মোস্তাফিজ। ১৩ ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ২১ উইকেট। ১১ ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট নিয়েছেন টাইগার দলপতি সাকিব। পেসার রুবেল হোসেন ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ১৩ উইকেট।, সর্বোচ্চ ম্যাচ (টেস্ট): এ বছর বাংলাদেশ আটটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিল। আটটিতেই অংশ নিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ, মেহেদি মিরাজ, মুমিনুল হক, মুশফিক। এছাড়া সাতটি করে ম্যাচ খেলেছেন লিটন দাস এবং তাইজুল।, সর্বোচ্চ ম্যাচ (ওয়ানডে): বাংলাদেশ এ বছর খেলেছে ২০টি ওয়ানডে ম্যাচ। সবকটিতেই অংশ নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ এবং অধিনায়ক মাশরাফি। ১৯টি ওয়ানডে খেলেছেন মুশফিক। আর ১৮টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পান মোস্তাফিজ। ১৫টি করে ওয়ানডে খেলেছেন মিরাজ, সাকিব এবং রুবেল।, সর্বোচ্চ ম্যাচ (টি–টোয়েন্টি): এ বছর ১৬টি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন টাইগাররা। তার সবকটিতেই খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ এবং মুশফিক। ১৫টি করে ম্যাচ খেলেছেন সৌম্য এবং তামিম। লিটন দাস ১৪টি, মোস্তাফিজ ১৩টি, নাজমুল অপু ১৩টি, রুবেল–সাকিব খেলেছেন ১১টি করে ম্যাচ। ১০টি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন মিরাজ।

About Post Author

Md. Siraj

admin@benglasport.com

Happy

0 0 %

Sad

0 0 %

Excited

0 0 %

Sleepy

0 0 %

Angry

0 0 %

Surprise

0 0 %

Md. Siraj

See author's posts